২৬ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং ২টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নাজমুল ইসলাম, নবীগঞ্জ : নবীগঞ্জে ২৬কেজি গাঁজা ও দুইটি প্রাইভেটকারসহ ৪ মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রুস্তমপুর টোলপ্লাজার নিকট থেকে ২৬ কেজি গাঁজা ও দুইটি প্রাইভেটকারসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত মাদক ব্যাবসায়ীরা হলো- ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সেজামোড়া গ্রামের সবাচান মিয়ার ছেলে মোঃ নাসির মিয়া (৪০), শ্রীবন্দর গ্রামের মৃত গনি মিয়ার ছেলে শিপন আহম্মেদ (৩২), শাহ বন্দর পতন গ্রামের আইয়ুব মিয়া ছেলে মোঃ তারেক মিয়া (২৫) ও মৌলভীবাজারের বড় হাট গ্রামের মৃত আনছার মিয়ার ছেলে মোঃ রুহেল আহম্মেদ (২৪)।
র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক কোম্পানী অধিনায়ক রফিউদ্দীন যোবায়ের জানান, র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে প্রাইভেটকার যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করে থাকে।
উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয়। মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর এলাকা হতে সিলভার রংয়ের ঢাকা মেট্টো-গ-১২-৭৭৫৬ করোলা প্রাইভেটকার এবং কালো রংয়ের ঢাকা মেট্রো-গ-২৭-৪৭৫৭এক্স ফিল্ডার প্রাইভেটকারযোগে গাঁজার বড় চালান সিলেট হয়ে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে।
এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং স্কোয়াড কমান্ডার উপ-পরিচালক চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে নবীগঞ্জ উপজেলার রুস্তমপুর টোলপ্লাজা এর পশ্চিম পার্শ্বে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর তাৎক্ষণিক তল্লাশী চৌকি স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী করতে থাকেন।
তল্লাশীকালে সন্ধ্যার দিকে উক্ত প্রাইভেটকার ২টি তল্লাশী চৌকির নিকট আসলে থামিয়ে তল্লাশী করে উল্লেখিত ৪ জনকে আটক করা হয়।
পরে ২৬ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং ২টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।